ভবঘুরে
অরুনোদয় কুণ্ডুর
জন্মেছিলাম, প্রমাণ আছে
কাগজ কলম খাতায়;
পরিচয় আছে সুন্দর করে
প্রমাণ পত্রে ছাপা,
দিস্তেখানেক শংসাপত্র,
অহংকারী ভিসিটিং কার্ড
আমায় চলেছে বয়ে।
দামি কাগজের কেতার কালি,
গন্ধেই ভরা, আসলে খালি!
তবু বাঁধা আছি রুটিন হয়ে
কাগজের মাঝখানে;
কখনোবা ওই মেমরি চিপের
অচেনা রসায়নে।
ঠিকানা লেখা কুঠুরিতে বসে
চামড়া, পোশাক ঢেকে,
আমার আমি অন্ধকূপে
লুকিয়ে থেকে থেকে,
দেওয়ালের নীল আকাশে তাকিয়ে
পথভোলা বেদুইন;
পৃথিবী ঘরের হারিয়ে চাবি
ভাবছে নিশিদিন।
কোথাও পাহাড়, অচিন নদীর
উৎসমুখের মাঝে
আনন্দ তার ঝরছে পাতায়
ঝরনাধারার সাজে।
কোনসে দূরে কোন প্রেয়সীর
চোখের নীরবতা,
বলছে কথা বোবা পাথরের
নিপুন কারুকাজে।
আকাশ ফোঁড়া বরফ চূড়ার
গভীর ধ্যানের ভাষা;
প্রপাত ধারায় উছল নদীর
কল্লোলে কাঁদা হাসা।
সবার মাঝে হারিয়ে আমি
স্নিগ্ধ মধুর ছন্দ;
সোনার খাঁচা অনেক দামি
তবুতা গরাদ বন্ধ,
তাইতরে আজ ভাঙ্গলে তালা
এ মন মুসাফির।
হারিয়ে যাওয়ার নেই ঠিকানা,
না চেনা কোন রুদ্রবীণায়
শিল্প মিসে লীন হয়েছে
স্বর্গের তসবীর।
Comments