সঞ্চয়িতার ওপর একটি ডেয়ারি মিল্কের প্যাকেট - ৪
দেবার্ঘ সেন
অলৌকিক অকারণ দীর্ঘ প্রলাপ
প্রতিদিন কবিতা না আসার মতোই আজ
বারবেলা জুড়ে শূণ্যতার পাহাড়।
কবিতা শিখিয়ে দিয়ে গ্যাছে
সে না আসার মুহূর্তকেই সহ্য করতে, অমায়িক।
এই গোপন-কলা থেকেই একদিন পেয়ে যাওয়া যায়
যাবতীয় ভৎসর্নাকে গায়ে না মাখার
আদিম শৈলী। তারপর---
সন্ধে সন্ধে গলি
মোড়ের মাথায় সিগারেটের দোকান।
সিগারেট কিনি। ধোঁয়া ছাড়ি।
সেই ধোঁয়াকে সন্তানের মতো বুকে জড়িয়ে নেয়
মাতৃ-বাতাস। সুতরাং, মা= লঘু মাধ্যম।
মা বরাবর পদচারণা করি। ঘর ঘেঁষে অসুস্থ জল গড়িয়ে পড়ে।
শুয়ে নয়, বসে নয়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লিখে যাই টানটান।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লিখে যাই টানটান।
বিভিন্নতার নুড়ি পাথর ফেলে
বাড়াতে হয়না বিষাদ তরল উচ্চতা
বাতাসময় লেগে থাকে বাবার ঘামের গন্ধ।
কাজ থেকে ফেরার সেই স্বয়ংভূক্ষণ।
আমার পড়া না পারা, লাল কান।
শক্তিহীন অপারগতা।
না-লেখা সাদা পাতায়, ফোঁটা ফোঁটা অশ্রুজল।
ফোঁটা ফোঁটা অশ্রুজল -
বিনা আলোয় গাছের পাতা গোনা
শেষ হয়ে এলে,
প্রতিবারই ভেবেছি মৃত্যুর মস্তিষ্ক পরখ করে
তাকে নির্বাণ করে দেব।
ভীষণ প্রখর কোনও সময় পুড়িয়ে
চিৎকার করে বলে উঠবো
এই নস্যাৎ কবিজীবন। ভালো আছে, সুস্থ আছে।
অথচ জ্বালানির দাম বেড়ে গ্যাছে, আশ্চর্যসীমা
কৃষকরা আন্দোলন
প্রত্যাহার করেননি।
আমার ধার করে কেনা " সঞ্চয়িতা "-র শোধ সকালের
আলোয় দেশজুড়ে শুধুই পা-চাটা চলেছে
ক্ষণে ক্ষণে বেজেছে খেলা হবে
আমরা তবু বলিনি, হে ভারতবাসী
' ধূলামন্দির ' পড়ো।
ধূলামন্দির ;
এক আনা বসত শেষে
বোধের যে পরাকাষ্ঠা
তাৎপর্যতায় উন্মেষিত কয়েকটি হাত
চিলেকোঠার ঘর।
পাখীর ভাষা
শুধুই চমৎকার।
এভাবেই, যে পায়রাগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছিলাম
নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে
তারা আবার ফিরে আসে, ভরা প্রেমে
দানায় দানায় বলে যায়
অনিত্য আকাশ কখনওই
অবলম্বনের সাগর ছুঁতে পারে না।
সাগর ছুঁতে পারে না
অন্তর্দৃষ্টি থেকে অপসৃত হচ্ছে যে আলো অথবা হয়
যা কারুর দেখতে পাওয়ার কথা নয়
তারাই প্রকৃত বন্ধু।
তারই প্রেমে আমার বারবার পতন।
পতনের রঙ কালচে লাল।
যদিও, লাল একটি চাঁদের নাম।
কোষে কোষে আত্ম-সম্মান
নিশ্চিহ্ন বিশ্রাম থেকে
অনপনেয় কান্না সকাল।
( ক্রমশ...)
Comments