সঞ্চায়িতার ওপর একটি ডেয়ারি মিল্কের প্যাকেট
দেবার্ঘ সেন
পারস্পরিক স্থান বিনিময় করে
বাঘে আর গরুতে এসে এক ঘাটে জল খায়।
দুজনই দুজনের পিঠ চুলকে দিয়ে
আবেদন জানায় কবিতা পড়ে মন্তব্য রাখার।
এখন মন্তব্য সস্তা দরে লিখে দেওয়া যায়
এই তো সময়, খাটালে এসেও সহজ আতিথ্যের
অথচ, ঘাসফড়িং উড়ে বেড়ায় উড়নচণ্ডী কবিতা মায়ায়
সে জানে,
আরশিনগরে বিহ্বলতা না যায় বেচা, না যায় কেনা
আলোড়নের ভেতর শুধুই বাইশে শ্রাবণ ঝরে।
বাইশে শ্রাবণ ঝরে
ঝরতে ঝরতে ঈশ্বরের শরীর দুপুর হয়ে যায়
ঘরেতে চাল ফুরোয়,
দ্বিধা মানতে চায় না পেট।
ঘরের দেওয়ালগুলো ভাঙতে চেয়ে, নিজেই ভেঙে পড়ি।
আলিঙ্গন করে যন্ত্রণা,
অক্ষর পুড়ে কালো কালো ধোঁয়া ওঠে
ঠাকুরের বেদীতে আগুন ধরে যায়
চারদিকে সবাই যেন হো হো করে হেসে ওঠে
হাসির তলায় চাপা পড়ে গিয়ে
আমি আরও তেজস্ক্রিয় হই,
জগদ্দর্শনে লিখে যাই,
আবেগের বেয়নেটে, জ্বলবে চোখের আয়ুষ্কাল।
আয়ুষ্কাল
অথবা লেখার তোষক
দিন মাড়িয়ে চলে যায় অগুনতি শোক-সংবাদ
ঝিরিঝিরি কান্নায় জেগে উঠি,
অনন্ত বিয়োগের কাছে যে জ্ঞানযোগ থাকে
তাই কি কবিতা
নাকি অকাল উন্মাদনার স্মারকলিপি!!
গলায় দড়ি পরে বুঝে নিই,
আমাদের সামর্থ্যের সরণ আসলে শূণ্য।
( ক্রমশ...)
মন ছুঁয়ে গেল