ধুলো হাড়ের পাঁচালী ----- ১৬
--------------------
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সবদিকে তাকালে চোখ পুড়বে কিভাবে? চোখ পোড়াব বলেই তো আলো পথে চেয়ে থাকা। আরও এক নতুন আলোর সন্ধান। পায়ে পায়ে হেঁটে এসেছি অনেকখানি। ভাবিই নি কিছু দেখা যায়। অথচ দেখা যায় তো। হাঁটলেই দেখা যায়। কখনও নদীধার ধরে, আবার কখনও পাহাড়ি পথে শুধুই উঠে যাওয়া, নেমেও তো গেছি কতকাল। তাহলে আবার কেন আসে চোখে চোখ! কোনো কিছুই নয়। চোখ তো উড়ছিল অনেক উঁচু দিয়ে। নীচেও তার অনেক বন্ধু ছিল। হাঁটতে হাঁটতে বন্ধু হয়। বন্ধু লাগেও তো। জানলা খুলে রোদ মেলাতে হবে না! হ্যাঁ, এরপরেও চোখে চোখ। তোমারও তো গলিপথ। মাঝে মাঝে আরও কতো শাখাপ্রশাখা। তারাও তো তোমায় টানে। চোখ কি সেখানেও বসে না! তবুও দিন গেলে সুতো কাটতে কাটতে যখন মোড়ে এসে দাঁড়াও তখন দেখি তোমার দুটো হাত কত নীচে নেমে এসেছে। এতকাল যে হাওয়ায় হাত পাতা ছিল আজ এই সন্ধ্যের মুখে চেনাই যায় না হাত উপুড় নদীজল। এমন দুয়ারেই তো বসা যায়। পুড়িয়ে ফেলা যায় চোখও।
Commentaires