ধুলো হাড়ের পাঁচালী
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
৩
আগে রোজ রাতে গলা পর্যন্ত মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতাম। তখন উল্টোপাল্টা অনেক জায়গায় পা দিয়েছি। এখন গেট খুলে যখন সোজা এসে ঘরে ঢুকি তখন মাতাল জামাপ্যান্টগুলো রোজ রাতে কাঁদে ------ খুব ইচ্ছে আবার যেন ওদের হাঁটাচলা করাই। খুব রাগ হতো। ওরা আবার আমাকে খাদে ফেলতে চায়। একদিন রাগ করে সারারাত জানলায় বসে আছি। হঠাৎ জামাপ্যান্টগুলো আমার কানের কাছে এসে বলল, একটা সময় অন্তত তোমাকে চেনা যেত। অথচ এখন তোমার কোনো চরিত্র নেই। যন্ত্রের সঙ্গে সারাদিন নেচে-কুঁদে বাকি সময়টুকু এখন জল হাওয়া মাটির তালে তালে উড়ে বেড়াই। মাতাল জামাপ্যান্টগুলো এখন আর কাঁদে না। ভালো করে কেচে রোদ খাইয়ে তারা এখন সোজা হেঁটে যায়। দিনান্তে ভাসতে ভাসতে আমি এখন ওদের চিনতে পারি না।
Comments