কক্ষচ্যুত নক্ষত্র
উদয়ণ চক্রবর্তী
সে এক মাহেন্দ্রক্ষণ
জানা নেই কোথায় তখন দাঁড়িয়ে ছিল
শুকতারা সন্ধ্যাতারাই বা ছিল কোথায়
কোথায় ছিল স্বাতি নক্ষত্রমণ্ডল —
যখন খসে পড়ে ছিল এক বাউল নক্ষত্র
পৃথিবীপৃষ্ঠে, বৈশাখের দাবদাহে প্রানের প্রতীকে,
পৃথিবীর প্রানের মরুদ্যানে জল দানে।
সমতুল নক্ষত্র মন্ডলে হয়েছিল সূর্যদয়
রবি নামেই সে নক্ষত্র পাড়ি দিয়েছিল পথ
অন্ধকার সরিয়ে আলোর বর্তিকা হাতে
জন অরণ্যে একলা পথিক মায়াবী যাত্রাপথে।
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাঁর হঠাৎই চকিতে
কোনও এক মাহেন্দ্রক্ষণে কুসুম স্নিগ্ধ প্রাতে।
সে আসা এখনও চির আকাঙ্ক্ষিত, আর একবার সে অমুল্য নক্ষত্র পতনের চাতক আকুতি এ অভাগা দেশে এ চরাচরে।
কথা দিয়ে স্বপ্ন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে সে মানিক রচিয়ে, যে দিয়ে যাবে সম্পদ্ এক আত্মসুখি জাতিকে।
উৎসবের মত পালন সে নক্ষত্রজাত মহানের
জন্মক্ষন ,
পুজার ছলেই ভুলে থাকা তাঁর কথা সীমিত মননে।
আরও শতবর্ষ পরে রবে কি এ আগ্রহ উল্লাস
রবে কি স্মৃতি তর্পণ সে জন্ম জয়ন্তি পালন,
আত্মহত্যায় নেমেছে যে জাতি সে কি পারবে
সে পবিত্র আত্মায় জলদানে তাঁর জন্মদিনে আগামী দিনে, যখন এ পৃথিবীর অসুখ গভীর থেকে গভীরতর মানুষের লোভ আর ক্ষমতার
আত্ম অহংকারের কোলাহলে মৃত্যু অভিমুখ বেছে নিয়েছে।
Comments