জুন
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
জুন ছুঁয়ে যায় জৈষ্ঠ্য-আষাঢ়
গরম থেকে শুরু,
বিকালে মেঘ জমায় আসর
করে গুরুগুরু।
গরম তো নয় আগুন ঝরে
তেষ্টা মেটায় জলে,
মাটিতে রস একটুও নেই
সব্জি না আর ফলে।
কালবোশেখী উড়ায় ধুলো
ছিটিয়ে দেয় বারি,
আমরা মানুষ সেই গরমে
তাতে বাঁচতে পারি।
আম পাকে আর কাঁঠাল পাকে
মিঠেকড়া জুনে,
চাতক পাখি জল চেয়ে খায়
আগ্রহ হয় শুনে।
জামাইষষ্ঠীর ফলাও বাজার
ব্যবসায়ীরা খুশি,
কেউ খেতে পায় কাঁঠালকোয়া
কেউ চোষে তার ভুসি।
জামাই-মেয়ে আদর পেয়ে
ফিরল আপন ঘরে,
তাতে কী আর গরম কমে
মরছে যেন জ্বরে।
শেষের দিকে আকাশ জুড়ে
আঁধার গেছে ভরে,
মেঘের থেকে অঝোর ধারায়
বৃষ্টি পড়ে ঝরে।
শীতল হলো খেতের মাটি
জন্মে ধানের চারা,
ঝিঙে গাছে ফুল ধরেছে
চাষি আত্মহারা।
মা বলেছে, অম্বুবাচি
আম-কাঁঠাল খায় যারা,
রথের মেলায় আনবে কিনে
সেগুন গাছের চারা।
Comments