![](https://static.wixstatic.com/media/db19e5_37524127a7744947ae4ea4f8ac4e37ff~mv2.jpeg/v1/fill/w_980,h_714,al_c,q_85,usm_0.66_1.00_0.01,enc_auto/db19e5_37524127a7744947ae4ea4f8ac4e37ff~mv2.jpeg)
ভাড়াটিয়া উপাখ্যান
মানস দেব
শুনুন - শুনুন - শুনুন - গুণীজন
ভাড়াটিয়ার জীবন কাহিনী করিব বর্ণন ।
কি ভীষণ যন্ত্রণা আজি
চেপে আছি বুকে ;
চাকুরী সূত্রে বাড়ি ছেড়েছি
দীর্ঘ দশ বছর আগে ।
যাযাবরের মতো
ঘুরছি এবাড়ি-ওবাড়ি ,
ভাড়াটিয়া হয়ে ।
দিচ্ছি ভাড়া মাসের ঠিক দুই তারিখে
তবু মালিকের মুখটা থাকে কালো ।
কথায় কথায় বলেন -
" ঘরদোর গুলো রাখছেন না ভালো ।
রান্নার ধোঁয়ায় ঘর হচ্ছে ভীষণ কালো । "
আবার কখনো বলে ওঠেন -
" হেথা ফেলবেন না ময়লা গুলো ,
বাড়িটা করে ফেলেছেন অতি জঞ্জাল বড়ো । "
কখনো বা হেসে হেসে বলেন -
" ঘরের রংটা চটে গেছে বারে বারে হাত লেগে ,
বাড়িটা ব্যবহার করুন একটু বুঝে শুনে । "
কখনো বলতে শুনি -
" কি দাদা আপনার বাইকে ভাঙছে যে সিঁড়ি ,
এগুলো সারাবার দায়িত্ব কে নেবে শুনি ? "
পাড়ার লোকের সাথে কথায় কথায়
মালিক বলেন -
" আপনার ভাড়াটিয়া শুনেছি বড্ড ভালো ;
আমার ভাড়াটিয়া বড্ড জঞ্জাল - কোথা থেকে যে এলো ! "
আবার কখনো চোখ রাঙিয়ে বলেন -
" অনেক হয়েছে দাদা ,
এবার দয়া করে ছাড়ুন আমার বাড়ি খানা ।
অনেক কিছু সারাতে হবে নতুন করে
দেওয়ালে রং গুলো পড়ছে যে ঝোরে ,
আপনাদের বে - হিসেবি ব্যবহারে । "
মালিকপক্ষ শুনুন মন দিয়ে -
ভাড়াটিয়া হয় না কেউ শখ করে ।
কেউ বা জীবন জীবিকার সন্ধানে
আপন বাড়ি ছাড়ে চোখের জলে ।
কেউ আবার বাড়ি ছাড়ে কোন্দলের ত্রাসে
ভাড়াটিয়া হয় যে ভাগ্যের পরিহাসে ।
Comments