লিমেরিক ও 'এডোয়ার্ড লিয়র'
শংকর ব্রহ্ম
The little Bheesties' twittering cry
Rose on the fragrant air,
And oft the angry Jampan howled
Deep in his hateful lair.."
( এবং যেখানে বেগুনি নুলা[Nullahs] নিক্ষেপ করেছিলেন
তাদের শাখাগুলি দূর-দূরান্তে -
এবং রৌপ্য গোরিলারা উড়ে গেল
নীরবে, পাশাপাশি, -
ছোট্ট ভেস্টি'র[Bheesties] কিচির মিচির কান্না
সুগন্ধযুক্ত বাতাসে গোলাপ,
এবং ক্ষুব্ধ জাম্পান[Jampan] হু হু করে কেঁদে উঠল
তার ঘৃণ্য কায়দায় গভীরভাবে ..)
স্নায়ুরোগের জন্য লিয়র মানুষের ভিড় পছন্দ করতেন না। তাই তিনি কোলকাতার রাজভাবন দেখে বলছিলেন “Husslefussabud” অর্থাৎ “বড্ড গোলমেলে”।
এই জগৎটি চিত্রিত করেছেন 'লিয়র' তার ক্যানভাসে, কিন্ত তা প্রশংসা পেলেও তেমন মর্যাদা পায়নি। শিল্প বিপ্লবের তাড়নায় তখন ইংল্যান্ডে চলছিল সংস্কৃতির অবমূল্যায়ন। শুধু লিমেরিক বা লিরিকেই না বাস্তবেও নিজেকে তিনি ব্যঙ্গ করেছেন বারবার। সারা জীবন পরেছেন বেঢপ প্যান্ট শার্ট আর নাকের ডগায় ঝুলিয়েছেন মোটা লেন্সের ল্যাগ-ব্যাগে চশমা। তবে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
একবার একটা সস্তার সরাইখানায় তিনি রাত কাটাচ্ছিলেন, শুনলেন পাশের ঘরে তার ছড়া পড়ে কয়েকজন, তাকে নিয়ে আলোচনা করছে “How pleasant to know Mr. Lear!
একবার ট্রেনে করে 'লিয়র' ভ্রমণ করছিলেন এক অপরিচিত ভদ্রলোক এর পরিবারে সাথে। ভদ্রলোকের বাচ্চারা পড়ছিলেন “A book of nonsense”. ভদ্রলোক লিয়রকে বইটি দেখিয়ে বললেন, এমন মজার বই আর হয় না। কে এক 'এডোয়ার্ড লিয়র' লিখছেন বইটি, আসলে লেখক লিয়র না ডার্বির আল'। EARL কথাটি ঘুরিয়ে তিনি “LEAR” লিখছেন।
এইসব শুনে বাধ্য হয়ে লিয়রকে বলতে হল তিনিই লিয়র। ভদ্রলোক আর তার পরিবার তো হেসেই বাঁচেন না। বাধ্য হয়ে লিয়রকে জামা খুলে তার গায়ে উল্কিতে লেখা - “EDWARD LEAR” নামটি দেখাতে হয়। অসহায় 'লিয়র' তখন বাধ্য হয়ে জামা খুলে প্রমাণ করেছিলেন, যে তিনি মিথ্যে কথা বলছেন না। তিনিই আসলে 'লিয়র'। এই ঘটনা পরে অবশ্য তিনি চিত্রিত করে গেছেন তাঁর লিমেরিকে। কী চমকপ্রদ জীবন লিয়রের, ভাবলে আজও আশ্চর্য লাগে বইকি !
-----------------------------------------------------------------------------------------
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত। তথ্যসূত্র - উইকিপিডিয়া। ]
Comments