ধুলোমুঠির গান
অয়ন ঘোষ
দশম পর্ব
নিস্তরঙ্গ এই জীবন, যেখানে ক্যালেন্ডার, ঘড়ি কাজ হারিয়ে আমার মতোই বেকার, সেখানে বসে বসে মনে হয়, খানিক পিছনের দিকে তাকাই, ধুলো ঝেড়ে দেখি পুরনো ফোটো ফ্রেমের, একটু খোঁজ নিয়ে দেখি কেমন আছে ওরা সব। পিছনে পানে তাকিয়ে দেখি জমা খরচের খাতায় শুধুই শুভন্করী ধাঁধা। অঙ্কে চিরকালের কাঁচা আমি কোনো হিসেবই ঠিক করে মেলাতে পারিনি। অবিশ্যি আমার মনে হয়, ম্যাট্রিক পরীক্ষার অঙ্কে ১০০ ই ১০০ পাওয়া ছেলেও মেলাতে পারে না। আর ওই যে ধরি x, ওখানেই তো যত গন্ডগোল। কার কাছে x এর কি মানে তা কি ছাই জানা আছে। একেক জনের কাছে এক এক রকমের মানে।
তাই তো অঙ্ক মেলাতে গিয়ে দক্ষ গণিতবিদ কেও ইনফিনিটি প্রতীকের ব্যবহার করতে হয়, তার মানে যার তল পেলে না, যাকে সীমায় বাঁধা গেলো না, তাই অনন্ত স্বরূপ। সেই অনন্ত জীবন জটিল আয়োজনে আমাদের ডাকে, তার ডাক ফিরিরে দেওয়ার সাধ বা সাধ্য কোনোটাই আমাদের থাকে না, থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন। এই দেখুন অঙ্কে থাকতে থাকতে কেমন, ধানসিঁড়ির কবির কাছে চলে এলাম। বলা নেই ,কওয়া নেই সেই ছলাৎ ছল নদীর তীরে বাস, ঢেউ এর সাথে ভেসে পড়া, কতো বন্দরের ইশারা এড়িয়ে, নতুন কোনো বন্দরে ঠাঁই, এই না হলে জীবন। এখানে কি অঙ্ক চলে। আপনি কেশব নাগ মেলাতে পারবেন, কিন্তু এই রমণীয় জটিল হিসেবে ভুল করেই আনন্দ, সব মিললে যে নষ্ট জীবন।
বিজ্ঞানের বন্ধুরা, রাগ করবেন না, আমি যেমন ভাবে বুঝেছি তেমন ভাবেই স্বীকার করছি, কারণ আমার কাছে বিজ্ঞানের প্রতিটি সূত্রই মনে হয় ভালোবাসার এক খোঁজ। কখনো কখনো সেই খোঁজার শেষে আমরা পাই ভালোবাসার সেই পথ, আবার বেশিরভাগ সময়ে আমার সুর গুলি পায় চরন আমি পাইনে তোমারে। আমার মত আপনার মতের সাথে মিলতে নাই পারে, আর জোর করে মেলাতে গেলে বেসুরো বাজে। তার চেয়ে থাক, যদি মেলার থাকে তাহলে মিলবে, না মেলার হলে মিলবে না।
(ক্রমশ...)
Comments