আগন্তুক ।। কবি প্রণাম সংখ্যা ।। ছোট গল্প ।। বাপ্পা রুইদাস
- agantukpotrika
- 18 minutes ago
- 7 min read

ঋণের দায়
বাপ্পা রুইদাস
লোকটার বয়স সত্তর বছর। নাম গণেশ রুইদাস। মাথার চুলগুলো প্রায় সব সাদা হয়ে গেছে। শরীরের কালো চামড়া ঢিলে হতে শুরু করেছে। পরনে ময়লা জামা ও ময়লা লুঙ্গি, এবং হাতে কিছু যন্ত্রপাতি ও কিছু ছেঁড়া জুতো। প্রতিদিন তাকে দেখতে পাওয়া যায় নবাবগঞ্জের বাসস্টপের উল্টোদিকের একটা মস্তবড় সোনাঝুড়ি গাছের নিচে। মাথার উপরে থাকে একটা ছেঁড়া রঙিন ছাতা।
গণেশের যে খুব বেশি রোজগার হয় তা না। কি করে হবে? এখন কতজনই বা জুতো শিলাই বা জুতো পালিশ করাই? এখন তো জুতো ছিঁড়ে গেলে ফেলে দেয়। কেউ আর শিলাই করাতে চাইনা। সবাই বলে, শিলাই করা জুতো কেন পড়ব? জুতো ছিঁড়ে গেলে ফেলে দেব! এখন তো কম দামে কত সুন্দর সুন্দর জুতো বেরিয়েছে। যেমন নরম, তেমন টিকসই। আর পালিশের কথা? যে একবার নতুন বুট কিনেছে, সে হয়তো বছরে একবার পালিশ করাই। আর এখনকার সব সু তো কাপড়ের তৈরি, ধুলোময়লা হলে একবার শুধু ডিটারজিনের জল দিয়ে ধুয়ে দিলেই পরিস্কার।
কিন্তু এতে কি আর সংসার চলে? তবুও ওই শিলাইয়ের কাজটাই করতে হয়। কারণ তার বাবা হাতে ধরে শিলাই করা, পালিশ করা শিখিয়েছে। তাই সে এই কাজটা ছেড়ে দেবে ভেবেও ছাড়তে পারেনি। তাছাড়া এ কাজটা ছাড়া আর তো অন্য কোনো কাজ সে জানেনা। তাই একরকম বাধ্য হয়েই এই কাজটা করে।
গণেশ সকালে গরম ভাত খেয়ে, যন্ত্রপাতির ব্যাগটা সাইকেলের হ্যান্ডালে রেখে বেরতে যাবে, ঠিক এমন সময় তার স্ত্রী সরলা কাছে এসে বলে, হ্যাঁ-গা শুনচো?
গণেশ দাঁড়িয়ে ব্যেজার মুখ করে বলে, ক্যানে! কী বলচিস?
- বড় মেয়ের ঘর যাব, তা কিছু টাকা দিয়ে গেলে নাই যে।
- ঘন ঘন মেয়ের ঘর গেলে, আমি অত টাকা কুথায় পায় বলদিকিনি?
- আমি কুথায় ঘন ঘন মেয়ের ঘর যাচ্ছি? তুমি তো দেখলে, মেয়েটা আমার কালকে ফোন করে কত কাঁদছিল।
গণেশ জানে তার মেয়েটা কত কষ্টে আছে। সে যখন ফোন করেছিল, তখন সে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, বাবা তুমি আমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যাও। ওরা আমাকে....।
সে কথাটা আর শেষ করতে পারেনি। একভাবে কেঁদে চলেছিল।
মেয়েকে দেখেশুনেই ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার শশুর ঘরের লোক যে যৌতুক চেয়েছিল, সেই যৌতুকগুলো প্রায় সব দিয়েছে, শুধুমাত্র জামাইয়ের আঙটিটা এখনো দিতে পারেনি বলে আট মাসের পোয়াতি বৌকে প্রতিদিন মারধর করে। এসব একবার গণেশের চোখে ভেসে উঠল, তার মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে মনের মধ্যে বিড়বিড় করে বলতে লাগল, ভালোইতো ভুলে ছিলাম। কেনে যে এসব কুথা তুলতে গেলাম, তার থেকে বরং সরলার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিলেই হতো, তাহলে এতটা দুঃখ লাগত নাই।
গণেশ জামার পকেট থেকে দু-শো টাকা বের করে সরলার হাতে দিয়ে বলে, এ টাকাটা নিয়ে যা। আমার কাছে আর টাকা নাই। আর মেয়েকে একটু বুঝিয়ে বলবি যে, আর কটাদিন যেন সহ্য করে থাকে, টাকাটা জোগাড় হয়ে গেলেই যত তাড়াতাড়ি পারি জামাইয়ের আঙটিটা দিয়ে দিবো।
গণেশ প্রতিদিনের মতো আজও নবাবগঞ্জের বাসস্টপের উল্টোদিকের প্রকাণ্ড সোনাঝুড়ি গাছটার নিচে বসল। আজ আর তার কাজে মন বসছে না। যদিও তার কাজে তেমন ভিড় নেই, তবুও তার আজ কাজ করতে ইচ্ছা করছে না। যন্ত্রপাতিগুলো সামনে রেখে, পাশের নন্দর চায়ের দোকানে এক কাপ চা খেয়ে আবার নিজের জায়গাই ফিরে আসে। সে কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু কিছুতেই কাজে মন বসাতে পারে না। বার বার তার মনে পড়ে যায়, জামাইয়ের আঙটির কথা, আট মাসের পোয়াতি মেয়ের কথা। গণেশ মনে মনে বলে, এতগুলো টাকা আমি কুথায় জোগাড় করি। ঘরেতে একটা কানাকড়িও পড়ে নাই। এদিগে যে টাকা ধার করব তারও জো নাই। মেয়ের বিয়ের সময় যে টাকাটা ধার করেছি, সেই টাকাটাই এখনো পর্যন্ত শোধ দিতে পারিনি। সুদের টাকা ঠেলতে ঠেলতেই আমার দিন চলে যাচ্ছে। না না! যে করেই হোক, টাকাটা আমাকে জোগাড় করতেই হবাক। নয়লে ওরা আমার মেয়েকে যে মেরে ফেলবাক। কিন্তু কীকরে আমি এতগুলো টাকা জোগাড় করি? কেয়-বা আমাকে এতগুলো টাকা ধার দিবাক? ছোট মেয়ের কাছে খুঁজবো? না না, তা কীকরে হয়! যে মেয়েটার বিয়েতে আমি একটা টাকাও দিইনি, সেই মেয়ের কাছে আমি কোন লজ্জায় হাত পাতবো?
সে আনমনা ভাবেই নিজের মনে বলতে থাকে, নিয়তির কী খেলা! যাকে আমি দেখেশুনে ভালো ঘর ভেবে বিয়ে দিলাম, সেই আজ কষ্ট পাচ্ছে। পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে। তবুও তো তাকে সবকিছু দিয়েছি, ধারদিনা করে হলেও তো দিয়েছি। শুধু ঐ একটি আঙটিটির জন্যে মার খাচ্ছে। আর এদিগে, ছোট মেয়েটা, যে নিজের পছন্দ করে, ভাব করে বিয়ে করল? সে আজ কতই না সুখে আছে। শশুর, শাশুড়ি, জামাই তাকে রাজরানী করে রেখেছে।
গণেশ শেষ পর্যন্ত আর থাকতে না পেরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল। রাস্তার লোকজন তাকে ঘিরে ভিড় জমাতে শুরু করল। সবার মুখে বলাবলি হচ্ছে, এর আবার কী হল রে বাবা! এখুনি তো ভালোই কাজ করছিল? ও কাকা...., বলি কী হল আপনার? কাঁদছেন কেন?
গণেশ কাউকে কোনো উত্তর না দিয়ে, যন্ত্রপাতিগুলো গুছিয়ে ঘর চলে এলো।
সকালে ভাত রান্না করে সরলা মেয়ের ঘর গেছে। সেই সকালের ভাতগুলো দুপুরে জল ঢেলে খেলো গণেশ। আজ রোদের তাপটা বাড়লেও বাতাসটা খুব সুন্দর দিচ্ছে। সে ঘর থেকে একটা তালাই বের করে, তারপর উঠোনের পাশে বাঁশগাছের নিচে পরিস্কার জায়গাই তালাইটা পেতে শুয়ে পড়ল। লম্বা লম্বা বাঁশপাতার ফাঁকে ফাঁকে সূর্যের কিরণ তার গায়ে এসে পড়ছে। তারপর সে বাঁশপাতার নাচ দেখতে থাকে বিভর হয়ে। ধিরে ধিরে সে একটা মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে, আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়ে তা জানেনা। যখন তার ঘুম ভাঙ্গে, দেখে যে সন্ধে হয়ে গেছে। আর সরলা তার মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। গণেশ ধড়ফড় করে উঠে বসে দু'হাতে চোখ লোগড়াতে লোগড়াতে বলে, একি সিমা? তুই চলে এলি যে?
সিমা মাথা নিচু করে বলে, ওরা বললাক যে, যতদিন না বাচ্চা হচ্ছে, ততদিন যেন আমি এখানে থাকি।
গণেশ মুখটা গম্ভীর করে বলে, অ-বুঝতে পেরেচি।
তারপর সে বিড়বিড় করে বলতে থাকে, সালারা এক একটা কশাই! দেখচে আঙটিটা যখন দেয়নি, তখন পোয়াতি মেয়েকে সামলাক। আবার সে হতাশার সুরে বলে, এখনো আঙটির টাকাই জোগাড় করতে পারলাম নাই, আবার মেয়েকে এখন কী ভালো মন্দ খাওয়াবো?
গণেশ পাড়ার হরিমঞ্চের তাসের আড্ডায় এসে বসল। প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় একবার করে এসে সে ঘন্টা খানেক সময় পার করে যায়। দু'এক চাল তাসও খেলে। কিন্তু আজ তার খেলাই মন নেই। তাই মঞ্চের একধারে পিলারে ঠেস দিয়ে বসে উপর দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনকড়ি গণেশকে একবার খেলতে ডাকে। প্রতিদিন গণেশ আর তিনকড়ি দুজনে একদিকে বসে। আর তাদের বিরুদ্ধে যারা বসে, তাদেরকে দু'দুটো লালসেট না দেওয়া পর্যন্ত তাদের খেলা শেষ হয় না। তিনকড়ি খেলায় অন্য একজনকে বসিয়ে দিয়ে, গণেশের পাশে এসে বসে। তারপর সে মজার সুরে বলে, ওই ঝাড়বাতিটা দশ বছরের পুরোনো। এই দশ বছর পর তুর আজ চোখে পড়ল?
গণেশ কোনো কথা বলে না। মনে হল যেন সে তিনকড়ির কথাগুলো শুনতে পাইনি। এবার সে গণেশকে হাতে ঠেলা দিয়ে বলে, তুর কী হয়েচে বল তো? আমি এসে থেকে দেখচি তু কেমন ঝিমিয়ে রইচিস?
এবার গণেশ বলে, আমি একটা সমস্যাই পড়েচি রে তিনকড়ি। কি করব কিছুই বুঝতে পারছি নাই।
- কী হয়েছে বল না আগে?
- আজকে বড় মেয়ে আইচে। বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবেক। তু তো জানিস, পোয়াতি মেয়ের পেছনে কত খরচ। আমার কাছে এতো টাকা কুথায়? তার উপর আবার জামাইয়ের আঙটিটা দিতে হবাক। ওরা হরদম বলছে কবে আঙটিটা দিবে? তুই বল, আমি এখন কী করি?
- আমি জানি, আমার মেয়েও এখানে থেকে খালাস হয়েছিল। অনেক টাকার খেল। আমাদের গরীব ঘরে টাকা জোগাড় করা যে কী কষ্ট। তবে তু কোনো চিন্তা করিসনা। সব ঠিক হয়ে যাবাক।
গণে কাজের সময়টা আরও বাড়িয়ে দিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না। রাত দশটা পর্যন্ত খাটলেও তেমন বেশি আয় হয় না। তাই ধিক্কার করে একদিন রক্ত বিক্রি করে এলো। কিন্তু এই রক্ত বিক্রি করে আর ক'দিন চলবে? দিন-পাঁচেক পরেই টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে মেয়ের প্রসবের সময় হয়ে আসছে। এদিকে আবার জামাই একটা দিনের জন্যেও দেখতে এলো না, আবার ফোন করলেও ফোন ধরে না। গণেশ অনেকক্ষণ ধরে ভেবে ঠিক করল যে, সে এই শিলাইয়ের কাজটা আর করবে না। যন্ত্রপাতি সব বিক্রি করে দিয়ে রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করবে। সেদিনেই বিকেলে নবাবগঞ্জে গিয়ে সব যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হাজার পাঁচেক টাকা পেল। সেই পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য কিছু ফল ও কিছু ওষুধ কিনে আনে। বাকি যে টাকাটা বেঁচেছিল সেই সামান্য টাকা সরলার হাতে দিয়ে বলে, সিমার শশুর ঘর থেকে কেউ ফোন করেছিল?
সরলা হতাশার সুরে বলে, না ; সিমা তিন-চার বার ফোন করলাক, কিন্তু ওরা কেউ ফোনটা তুললাক নাই।
একদিন হঠাৎ সিমার প্রসব যন্ত্রণা উঠল। গণেশ গাড়ি ডাকাডাকি করে সিমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। ডাক্তারবাবু সিমাকে পরিক্ষা করে দেখে বলেন, বাচ্চা ঘুরে গেছে। অপারেশন ছাড়া প্রসব করা সম্ভব না। এই হাসপাতালে অপারেশন হবেনা, আপনি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
গণেশ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে জামাইকে ফোন করে। কিন্তু জামাই ফোন ধরেনা। তিন-চার বার চেষ্টা করে অবশেষে সে ঝিমিয়ে গেল। গণেশ সরলাকে উদ্দেশ্য করে বলে, জামাই তো ফোন ধরছে নাই, এখন কী করবো?
সরলা গণেশকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে, জামাইয়ের কাছে ফোনটা নাই মনে হয়। তাই ফোনটা ধরে নাই, পরে আবার করবে এখন থাক।
ঘন্টা খানেক পর সিমার জামাই ফোন করে গণেশকে। সে জামাইকে হাসপাতালে আসতে বলে। কিছুক্ষণ পর ডাক্তারবাবু এসে গণেশকে বললেন, আপনার নাতনি হয়েছে।
সরলা ও গণেশ খবরটা পেয়ে আনন্দে নাচতে থাকে। গণেশ পকেট থেকে ফোনটা বের করে জামাইয়ের নম্বরে কল করতে যাবে, এমন সময় সরলা হাত বাড়িয়ে বলে, ওইতো জামাই আসছে।
সিমার জামাই ও শাশুড়ি এসে গণেশকে জিজ্ঞেস করে, বিয়াই, কী খবর? বাচ্চা হয়েছে?
গণেশ সব রাগ অভিমান ভুলে হাসি মুখে বলে, হয়েছে। তোমার ঘরে লক্ষ্মী এসেছে গো বিয়ান।
সিমার শাশুড়ির হাসি মুখটা এক নিমেষে ফেকাসে হয়ে গেল। তারপর আস্তে আস্তে তার বড় বড় চোখ দুটি রাগে লাল হয়ে গেল। সে হুঙ্কার দিয়ে বলে, কী? মেয়ে হয়েছে? আমার নাতনি নয়, নাতি চায় নাতি!
গণেশ আমতা আমতা করে বলে, কিন্তু বিয়ান, ভগবান যা দিবাক সেটাই তো আমাদেরকে মেনে নিতে হবাক। এতে তো আমাদের কুনো হাত নাই।
- না, আমার নাতি চায়; আমার বংশের প্রদীপ চায়! যে বউ আমাকে একটা নাতি দিতে পারে না, তাকে আমি আমার ঘরে রাখব নাই!
সরলা কাঁদতে কাঁদতে সিমার শাশুড়ির পায়ে ধরে বলে, আমার মেয়েকে এতো বড় শাস্তি দিওনা বিয়ান। এতে তো ওর কুনো দোষ নাই।
- না না, ওই মুখপুড়িকে আমি আর ঘরে তুলব নাই। পা ছাড়ো!
গণেশ জামাইয়ের কাছে গিয়ে বলে, বাবা লাল্টু তুমি তোমার মাকে একটু বুঝাও। মেয়েটার জীবনটা যে নষ্ট হয়ে যাবাক।
লাল্টু গণেশের হাতটা ছাড়িয়ে দূরে সরে যায়। তারপর সিমার শাশুড়ি বলে, লাল্টু আবার কী বলবাক? যা বলার আমি বলে দিয়েছি।
এরপর লাল্টু ও তার মা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। গণেশ সরলা দুজনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে। গণেশ ভাঙ্গা গলায় বলে, সিমাকে আমি এবার কী বলব?
সরলা দেওয়ালে মাথা ঠুকতে ঠুকতে বলে, ভগবান... মেয়েটাকে আর কত কষ্ট দেবে? কত কষ্ট দেবে!
কিছুক্ষণ পর লাল্টু আবার গণেশের কাছে এসে বলে, বাবা, আমি তোমাদের পাশে আছি। আমি সিমাকে, আমার ছোট্ট সোনামনিকে ছেড়ে কোথাও যাব না। আমি সব সম্পর্ক ছিন্ন করে আমি আমার স্ত্রী আর মেয়ের কাছে চলে এলাম। আমাকে তোমরা ফিরিয়ে দিওনা।
গণেশ কোনো কথা না বলে জামাইকে দু'হাতে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে
Comments